অসম সাহস নিয়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন সে সময়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী কনক মজুমদার। মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগ স্বীকারের জন্য এ নারী মুক্তিযোদ্ধা কোনো মর্যাদা তো পাননিই বরং আজও তাকে সইতে হয় গঞ্জনা। একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়ে আশ্রিতের জীবন কাটাতে হচ্ছে তাকে।
কনক মজুমদার। বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর উপজেলার পূর্বজলাবাড়ি গ্রামে একমাত্র মেয়ে নিপাকে নিয়ে এখন পরের আশ্রয়ে কোন রকমে দিন কাটছে তার।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটে নাম না উঠলেও সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বরিশালের আটঘর কুড়িয়ানাসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধে ক্যাপ্টেন বেগের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেন। ভারতে গিয়েও ট্রেনিং নিয়েছেন। অবরুদ্ধ বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় বেশ কয়েকবার গোয়েন্দাকাজে তাকে ছদ্মবেশেও থাকতে হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে আসলে বিয়ে হয় তার। প্রথম কন্যা সন্তান ৬ বছর বাদে মারা যায়। পরেরবার আরেকটি কন্যাসন্তান হয়। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় জানতে পেরে, স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়।
অন্যের আশ্রয়ে অসহায় অবস্থায় এখন দিন কাটছে মুক্তিযোদ্ধা কনকের। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে মাথা উঁচু করে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকতে চান তিনি।