আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খান চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে বালু তুলতে পারবে না বলে জানিয়েছে আপিল বিভাগ। চার এপ্রিল বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। রোববার (২৯ মে) হাইকোর্টের দেওয়া আগের রায় বাতিল করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তাঁর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বালু তুলতে পারবে না বলে নতুন এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। সেলিম খানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় বাতিল করার ফলে মেঘনা নদী থেকে সেলিম খানের বালু তোলার আর কোনো সুযোগ নেই।
মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান। ওই রিটে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।
চলতি বছরের ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।