তীব্র তাপদাহে অতিষ্ট সারাদেশের জনজীবন আর সেইসঙ্গে বেড়েছে রোগব্যধি। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকেই। গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক শ্রমিক। কয়েক জায়গায় ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় দুর্ভোগ আরো বেড়েছে মানুষের।
আরো কয়েকদিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, সারাদিনের তীব্র তাপদাহের পর মঙ্গলবার রাতে রংপুরে ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে আহত হয়েছেন ১০ জন।
গত কয়েকদিন ধরে যশোরে তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। প্রচণ্ড গরমে রাস্তা-ঘাটে ডাব ও বিভিন্ন ফলের শরবত খেয়ে নিজেকে সতেজ রাখার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ।
ঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে । গরমে নানা রোগব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী। তারা হিট স্ট্রোক ও গরমজনিত রোগেই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
একই অবস্থা নীলফামারীতেও। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে একদিকে সাধারন মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে, অন্যদিকে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গাজীপুরের কাশিমপুর ও কোণাবাড়িতে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫টি তৈরি পোশাক কারখানার শতাধিক শ্রমিক। বুধবার সকালে কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকার ডেল্টা কম্পোজিট, কটন বিডি লিমিটেড, মালটিফ্যাব, এম আর সিন টেক্স ও ইসলঅম গার্মেন্টস নামের এসব পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন।
এর কিছুক্ষণ পরই বেশ কয়েকজন শ্রমিক ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তীব্র গরমে এসব তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তবে এখন আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে, মঙ্গলবার দিন শেষে রংপুরের বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে আহত হয়েছেন ১০ জন।
এছাড়া গাছপালা, মৌসুমী ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পঞ্চাশটিরও বেশি পরিবার।