কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। এ সিটিতে (কুমিল্লা) প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। খুব বিরূপ মন্তব্যও আমরা পাইনি।’
বুধবার (১৫ জুন) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ নিয়ে অভিযোগ ওঠার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) স্লো ছিল না। যারা বয়স্ক ভোটার, তাদের একটু সমস্যা হয়েছে। ফলে ভোটগ্রহণে কিছুটা ধীরগতি ছিল।’
বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হলো ভোটগ্রহণ। তবে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে ৬৪০টি বুথে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী আছেন ভোটের মাঠে। এ নির্বাচনে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দু'জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মেয়র প্রার্থী পাঁচজন হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরফানুল হক ও মনিরুল হকের মধ্যে হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর হিজড়া ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক (রিফাত)। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সিটির সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন টেবিলঘড়ি নিয়ে।
দেশে প্রথমবারের মত সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুসিকের ১০৫টি ভোটকেন্দ্র ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।