কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল হক সাক্কু দাবি করেছেন, ইভিএমে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ধীরগতিতে ভোট হচ্ছে।
বুধবার (১৫ জুন) সকালে নগরীর হোচ্চা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে সাক্কু সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকলেও জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
অন্য সব ঠিক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্য সব ঠিক আছে। শুধু ইভিএমে একটু ত্রুটি আছে। আপনারা সাংবাদিকরাও এটা একটু বইলেন।’
অন্যদিকে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে সকাল ৯টার আগে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।
কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ফলাফল সবার আগে আমি মেনে নিয়ে যে জয়ী হবে তাকে ফুলের মালা দেব।
আরফানুল হক রিফাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘নৌকার বিজয় হবে এটাই আমার প্রত্যাশা। চমৎকার পরিবেশ।’
ইভিএমের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দারুণ।’
এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি নালিস পার্টির প্রার্থী না।’
ফলাফল মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যে জয়ী হবে তাকেই আমি প্রথম ফুলের মালা দেব।’
গতবারের মতো এবারও কুমিল্লা সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমবারের মতো এই সিটির প্রতিটি কেন্দ্রে এসেছে সিসি ক্যামেরার আওতায়।
দেশে প্রথমবারের মত সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুসিকের ১০৫টি ভোটকেন্দ্র থাকছে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা।
এবার ২ লাখের বেশি ভোটার ১০৫ কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একজন এসআইয়ের নেতৃতে আছেন পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য। এছাড়া আটজন পুরুষ ও চারজন নারী আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে। পুলিশ ও র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে মাঠে।