কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুর লক্ষ্যে সব কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) লাগানো হচ্ছে। দেশে প্রথমবারের মত সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুসিকের ১০৫টি ভোটকেন্দ্র থাকছে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ নির্বাচনে মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষের প্রতিটিতে বসানো হচ্ছে এই যন্ত্র। এতে মোট ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করবে ভোটারসহ সবার গতিবিধি। ভোটকেন্দ্রের প্রবেশ পথ ও ভোটকক্ষের প্রবেশ পথে থাকবে সিসি ক্যামেরা।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “ভোটকেন্দ্রে অন্যায় হল কি হল না; ভোটের পরেও অনেক সময় অভিযোগ করা হয়, এটা সঠিক কি না, প্রমাণের জন্য সুবিধা হবে সিসি ক্যামেরা। ক্যামেরা থাকলে যারা অন্যায় করতে চায়, তারা করবে না বলে মনে করি।”
তিনি জানান, নির্বাচনের আগে থেকে সিসি ক্যামেরা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচনী মালামাল যখন কেন্দ্রে যাবে, তার আগে থেকেও হতে পারে। ভোট গণনা, ফল প্রকাশের পর আরও কিছু সময় পর্যন্ত তা থাকবে।
মো. আলমগীর আরও বলেন,“প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে একটি করে (১০৫টি কেন্দ্র) এবং কেন্দ্রের ভেতরে প্রতিটি ভোটকক্ষে (৬৪০ ভোট কক্ষ) সিসি ক্যামেরা থাকবে। তবে ভোট কক্ষের যেখানে ভোট দেওয়া হয়, সেই গোপন কক্ষে সিসি ক্যামেরা থাকবে না।”
আগামীকাল বুধবার (১৫ জুন) কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। অর্থাৎ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পাঁচ প্রার্থী।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জন প্রার্থী আছে ভোটের মাঠে। নির্বাচনে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার দুজন।
ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১৬ হাজার ৪৭৪ জন। আর সবচেয়ে কম ভোটার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৮৯৪ জন।