রাত পোহালেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচন। নতুন কমিশনের প্রথম নির্বাচন, তাই বাড়তি নজর সবার। ভোটারের আস্থা ফেরাতে বদ্ধপরিকর ইসি।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের টহলও। সন্দেহজনক মনে হলেই তল্লাশি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে রাত ১২টার পর থেকে নগরীতে মোটরসাইকেল চলাচলেও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এককথায় নিরাপত্তার চাদরে মোড়া কুমিল্লা শহর।
এবারই প্রথম, ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি বুথে থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সবকিছু নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছে, নির্বাচন কমিশন।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, সোমবার (১৩ জুন) রাত ১২টার পর থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। তবে এ সময়ে জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি পাবেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন হাজার ৬০৮ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ৩০টি র্যাবের টিম, অর্ধশতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকছেন।’
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা করা প্রয়োজন তার সবই নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নগরীর সব স্থানে মাইকিং করে মোটরসাইকেল না চালানোর নির্দেশনার বিষয়েও জানানো হয়েছে।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘কিভাবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা যায় সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেভাবেই আমরা কাজ করে পরিকল্পনা সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। সিটি নির্বাচনে সম্পৃক্ত সবকিছুই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
এদিকে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে বিভিন্ন বাহিনীর ১৫ জনের ফোর্স। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের পাশাপাশি চার দিনের জন্য জন্য মাঠে থাকবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। কুসিকের ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নিয়োগ করা হয়েছে ১৬ জনের ফোর্স।
২৭টি ওয়ার্ডে কেন্দ্র মোট ১০৫টি। বুথ থাকছে ৬৪০টি। মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার। মেয়র প্রার্থী ৫ জন। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪২ জন।