বিদায় বেলায় নিজেকে সফল দাবি করলেন প্রধান নির্বাচন কমশিনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। মেয়াদ শেষের ঠিক একদিন আগে দেশের সব নির্বাচন করতে পারায় এই দাবি করলেন তিনি।
আগামীকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শেষ হচ্ছে হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি কমিটি।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি মনে করেন দেশের প্রতিটি নির্বাচন পরিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারায় সিইসি পদে তিনি সফল হয়েছেন। কমিশনের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে নিজের মূল্যায়ন জানতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সিইসি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে এবং পরিপূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য। কারও কথায় নয়, আইনের মাঝে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। এটি পদের জন্য নির্বাচন করেন সাতজন, পাস করেন একজন। সমালোচনা হবে, ভালোমন্দ বলবেন। এটা স্বভাবিক, এদেশের কালচার অনুযায়ী স্বাভাবিক। আগেও বলেছি এখনও বলছি হয়তো ভবিষ্যতেও বলবো আশা করি।
সফল মনে করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমি সাফল্যের সাথে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করেছি। একটা নির্বাচন এর কাজ আ কোনো কমতি রাখিনি। ১০ তারিখ যেটা ছিল সেটার সময় হয়েছিল, সব নির্বাচন শেষ করে এবার আমরা পরিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করেছি।
সব নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সুষ্ঠু হয়েছে তা নয়। মারামারি হয়েছে, কোথাও ব্যালট ছিনতাই হয়েছে আবার ধরা পড়েছে। নির্বাচন বন্ধ হয়েছে। আবার পুনরায় নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে তা বলা যাবে না, কিছু নির্বাচন তো এমন হয়েছেই। আপনারাই (গণমাধ্যম) বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে। শীতের দিনে রোদের মধ্যে নারী-পুরুষ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছে, ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে, ইভিএমে ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে। এর চেয়ে সফল নির্বাচন আর কি হতে পারে।
ইসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে ইসি সদস্যদের নিয়োগ দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন তারা। তাই নতুন ইসি গঠনে গেল ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে সার্চ কমিটি গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি। যারা নতুন ইসি কমিটি গঠনে কাজ করছেন।
