সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে আজ শনিবার। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ও সুষ্ঠু ভোট নিয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। যদিও প্রশাসন শুরু থেকেই শান্তিপূর্ণ ভোটের আশ্বাস দিয়ে আসছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সিলেট-৩ আসন। গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এর আগে দুইবার নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী। তার আগে তিনবার দখলে ছিল জাতীয় পার্টির। এবার এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নতুন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও এই আসনে বিএনপির আগের দুইবারের সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। জাতীয় পার্টিও নিজস্ব প্রার্থী দিয়েছে। এই তিন দলের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের একজন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চার প্রার্থী হচ্ছেন—আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
সিলেট-৩ আসনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩। আজ ১৪৯টি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠানে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার বিকেলে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম প্রতি কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এই উপনির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী আহমেদ।
এদিকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভোট গ্রহণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তিন উপজেলায় তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রতি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে এই আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।