করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম-এর একক ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হবে।
আদালতে আবেদন উপস্থাপন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার। স্থানীয় সাত জন বাসিন্দা এবং ছয় জন আইনজীবী এই রিট আবেদন করেন।
এর আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এই নোটিশ দেন। আইনজীবীরা হলেন- মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, আল-রেজা মো. আমির, মো. জোবায়দুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
নেটিশে বলা হয়েছে, গত ১১ মার্চ সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী'র মৃত্যুতে সিলেট-৩ আসনটি শূন্য হয়। ১৫ মার্চ নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে। ২৯ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। কিন্তু দৈবদুর্বিপাকের কারণে তা সম্ভব না হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী আরও ৯০ দিন সময় বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় ইসি। এরপর গত ২ জুন ওই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এই তফসিলে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরে ইসি তারিখ পরিবর্তন করে ২৮ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে।
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া এবং বিএনপি'র কেন্দ্রীয় সদস্য (বহিষ্কৃত) স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। / বাংভি