মেয়র পদে ৭১টি পৌরসভায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কথা স্বীকার করলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে তারা নিশ্চিত শেষ পর্যন্ত দলের একক প্রার্থী থাকবে। আর যদি দলের মনোনীত কোনো প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েন তাহলে বিদ্রোহীদের মধ্যে থেকে দলীয় সমর্থন দেয়ার কথাও ভাবছেন তারা।
এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে অনেকটা কৌশল করে এগুচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর দলীয় প্রতীকে ভোট প্রথমবারের মতো হওয়ায়, অনেকেই মনোনয়ন পত্র নিয়েছেন -বলছেন নেতারা।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পৌরসভা নির্বাচন। তৃণমূল থেকে পাঠানো নামের তালিকা বাছাই করে কেন্দ্রীয়ভাবে মেয়র পদে প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারপরও বেশিরভাগ পৌরসভাতেই এক বা একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।
নেতারা বলছেন, প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে নির্বাচন হওয়ায় অনেকেই বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি।
এদিকে, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে শুক্রবার সকালে দলের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে সভা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা।
সভাশেষে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিস্ক্রিয় করার চেষ্টা করছেন তারা। এক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলগতভাবে এগুচ্ছেন।
মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকা হওয়ার পর কেন দুদিন পর তা প্রকাশ করা হলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, এটিও কৌশলেরই অংশ।
শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসিয়ে দিতে কতটা সফল হলো, সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৩ ডিসেম্বর, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত।