পৌর নির্বাচনে দলের বাইরে কেউ সিদ্ধান্ত নিলে সর্বোচ্চ শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে—বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ১৩ ডিসেম্বরের পর পৌর নির্বাচনে তাদের দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। এখনো যাচাই-বাছাই চূড়ান্ত না হওয়ায় কিছু এলাকায় একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন স্থানে একাধিক প্রার্থী থাকায় এখন কারণ যাচাই-বাছাই শেষে মনোনীত অনেক প্রার্থী বাদ পড়তে পারে। কৌশলগত কারণে কিছু প্রার্থী রাখা হয়েছে। এরপরেও কেউ মনোনীত প্রার্থীর বাইরে নির্বাচন করলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে আর তা হলো বহিষ্কার।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে দলের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল, বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ উপস্থিত ছিলেন।
এরইমধ্যে দেশের ২৩৬টি পৌরসভায় একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে বিষয়টি মনোনীত প্রার্থীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
একইভাবে চূড়ান্ত তালিকাটি নির্বাচন কমিশনেও জমা দেয়া হয়েছে।
মংলা পৌরসভায় ভোট স্থগিত হওয়ায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে ২৩৫ টিতে। তবে স্থগিত এ পৌরসভাতেও প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে দলটি।
প্রসঙ্গত, তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর।