আসন্ন ৩ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ।
বুধবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান কমিশনারের -সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বিকেলে বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসি সঙ্গে বৈঠক করেছে।
বৈঠক বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে –এ সময় হান্নান শাহ বলেন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা বন্ধ করলে সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, কমিশনার দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। সেইসঙ্গে নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না বলেও আশ্বস্ত করেছে ইসি।
জানা গেছে, আসন্ন ৩ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তেমন একটা সমস্যা না হলেও কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিএনপিকে।
প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই একাধিক প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন। একক প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে শিগগিরই দল থেকে নির্দেশনা আসবে বলে জানিয়েছেন প্রার্থীরা।
তবে, মামলা ও পুলিশি হয়রানির কারণে নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারবেন কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদের। ৬০-৭০ ভাগ প্রার্থীর নামেই মামলা আছে আবার অনেকেই নিজ বাড়ি ছেড়ে রয়েছেন আত্মগোপনে।
প্রায় ৩ মাস ধরে চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি আর দফায় দফায় হরতাল। বিএনপির কেন্দ্রীয়, মধ্যম সারির এবং তৃণমূল পর্যায়ের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী আছেন কারাগারে। মামলায় জর্জরিত অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ পরিস্থিতিতেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর পদের প্রতিযোগিতায় আছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। কেউ কেউ নিজেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিয়েছেন কেউবা আবার গ্রেপ্তার এড়াতে প্রতিনিধিদের দিয়ে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
সার্বিক পরিস্থিতি মিলিয়ে আত্মগোপনে থাকা মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যথেষ্টই বেগ পেতে হয়েছে। বেশিরভাগ প্রার্থীই বাড়িতে থাকছেন না বন্ধ রাখছেন মোবাইল ফোনটিও।
কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এখনো অনেকটা আতঙ্কের মধ্য দিয়েই সময় পার করছেন। আশঙ্কা আছে নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারবেন কিনা তা নিয়েও।
আর, বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই একাধিক প্রার্থী থাকলেও অচিরেই এর সুরাহা হবে বলে মনে করছেন তারা।