আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়ছেন ৬০ জন প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তাদের কার কত আয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমের তুলনায় সম্পদ কম থাকলেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাসিরের বার্ষিক আয় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি। প্রার্থীদের মধ্যে একজনের নামে মামলা রয়েছে। বাকিদের ব্যাংক ঋণ থাকলেও নেই খেলাপীর অভিযোগ। মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামা থেকে মিলেছে এ সব তথ্য।
মার্চের ১৮ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ, ১২ দিন ছিল মননোয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার জন্য। নির্ধারিত এ সময়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৩৭২ জন। এদের মধ্যে মেয়র প্রার্থী হচ্ছে ১৩ জন। বাকি তিন'শ ৫৯ জনই কাউন্সিলর প্রার্থী। নিজ নিজ মননোয়ন পত্রের সঙ্গে হলফনামাও জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা।
কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাসিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। পেশায় ব্যবসায়ী। বার্ষিক আয় ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালক হিসেবে বছরে পান ৪২ লাখ টাকা। নিজের নামে শেয়ার আছে ২১ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার। আর তার ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। একটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে আদালতে বিচারাধীন।
বিএনপি সমর্থিত মনজুর আলম একজন শিল্পপতি। মালিক ১২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের। তার নগদ অর্থ রয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। স্ত্রীর রয়েছে ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নিজের নামে ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা আর স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে। মনজুরের ব্যাংক ঋণ ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণ ৩৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। মনজুরের শিক্ষাগত যোগ্যতা এস এস সি পাস। তবে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই তার নামে।
জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী, সোলায়মান আলম শেঠ একজন প্রিন্টিং ব্যবসায়ী। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক। তিনি ৮ একর জমির মালিক। যার মূল্য ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই বলে দাবি করা হয়েছে হলফনামায়।
এছাড়া বাকি ১০ প্রার্থীর ৯ জনই পেশায় ব্যবসায়ী।