দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে সশরীরে ক্লাস করতে পারবে এমন শর্ত দিয়ে আগামী ২২ তারিখে খুলছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠিান। তবে ১২ বছরের কম বয়সীদের বিষয়ে কোনো শর্ত নেই।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বৈঠক করার পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে ক্লাস করতে পারবে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বেলা ১১টায় মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি আরও জানান, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে থেকেও ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ আসে। তবে দুই ডোজ টিকা নেওয়া না থাকলে কোন শিক্ষক বা শিক্ষার্থী সশরীরে ক্লাস করতে পারবে না। তবে ১২ বছরের কম বয়সীদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এক মাসেরও বেশি সময় পর শনাক্তের হার ১২ শতাংশের নিচে নামায় পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত এল। এর আগে ওমিক্রনের প্রভাবে কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২২ জানুয়ারি থেকে দুই সপ্তাহের জন্য সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চলমান ছুটি আরেক দফা ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
গত কয়েকদিনে একাধিকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর না বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন মন্ত্রী। এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের দিন চলতি মাসের শেষের দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, চলতি মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে। যেন শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে কার্যক্রম চালাতে পারে।
এর আগে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ কমে আসায় ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে কোনো আপত্তি থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী কথা বলছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়। আর স্কুল-কলেজের যেসব ছেলে-মেয়ে এখনো টিকা নেয়নি, তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা নিয়ে নেয়।