একমাসেরও বেশি সময় ধরে উপাচার্য পদ শূন্য থাকায় প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে-বাকৃবি।
উপাচার্যের স্বাক্ষরের অভাবে বন্ধ রয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, পরীক্ষার ফল ও অফিসিয়াল সব কাজ। নিয়োগ ও বেতন ভাতা দেয়ার দাবিতে মাঠে নেমেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশের আন্দোলনের মুখে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত ৭ এপ্রিল পদত্যাগ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল হক। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদটি শূন্য রয়েছে।
এরআগেই বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন ৫৬ জন শিক্ষক। নতুন কোনো উপাচার্য নিয়োগ না দেয়ায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রমে। স্বাক্ষর ছাড়া বেতন না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলে জানান মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এনামুল হক।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে বেতন ভাতা আদায়ের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে তারা।
নিয়োগ ও বেতন ভাতা না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উপাচার্যের স্বাক্ষর পেলেই বেতন ভাতা পরিশোধ করা হবে— নিয়োগ না হওয়ায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার মো. সারওয়ায়র জাহান।
দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে সরকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক –শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।