সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যে আইনের অধীনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় চলবে—তার খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইন, ২০১৫’ এর খসড়ার এ অনুমোদন দেয়া হয়।
পরে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ খসড়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে।
তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকাস থাকবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি ও দর্শন এবং বিশ্ব সংস্কৃতি নিয়ে— তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল রবীন্দ্রচর্চা বা ভাষা-সাহিত্যচর্চার কেন্দ্র হবে না, পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি থাকবে। কলা, সংগীত চারুকলা, নাট্যকলা, সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি ও সমবায়, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ফ্যাকাল্টিও থাকবে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো দেশের অন্যান্য রাষ্ট্রায়াত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই হবে— এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে স্বাভাবিকভাবেই এখানে কলা, সংগীত, নৃত্য, চারুকলা ও নাট্যকলা গুরুত্ব পাবে।
বিশ্বকবির জন্মের সার্ধশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ ইশতেহারে বাংলাদেশে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পত্র দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সরকারি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় হবে দেশের ৩৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে এর অর্থায়ন করবে বলে জানা গেছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বাবার জমিদারির দেখাশোনা করতে ১৮৯০ সালে শাহজাদপুরে আসেন। ওইসময় শাহজাদপুর কাচারিবাড়িতেই তিনি অবস্থান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৮ মে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।