জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রাকিব আহমেদকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের পর প্রত্যাহার করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে সড়ক অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যলয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, এ ঘটনায় সার্জেন্ট ইরমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাঠানো খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, অভিযুক্ত পুলিশ সার্জেন্টের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। জড়িত সার্জেন্টস বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের আইজি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম চিঠি দেন।
এর আগে সকালে, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেটের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কে চলাচলরত দুটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।
তবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়ি চলাচলে কোনো বাধা দেয়া হয়নি। মহাসড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা -আরিচা মহসড়কে আটকা পড়ে কয়েক’শ গাড়ি। যাত্রীরা পড়েন চরম দুর্ভোগে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সপরিবারে বিমানবন্দর স্টেশনে যাচ্ছিলেন রাকিব আহমেদ। এ সময় ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করেছে দাবি করে পুলিশ তাকে গতিরোধ করে। গাড়ি সিগনাল অমান্য করেছে অজুহাতে সার্জেন্ট কাগজপত্র জব্দ করেন।
এ সময়ে রাকিব আহমেদ সার্জেন্টকে জানান, পরিবারের সদস্যরা ১০টা ৪০ মিনিটে ট্রেন যোগে সিলেট যাবেন। তাদের রেলস্টেশনে নামিয়ে ফেরার পথে ব্যবস্থা প্রহণের অনুরোধ করেন। তবে ওই সার্জেন্ট তাদের যেতে না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।
জাবি শিক্ষক পরিচয় দিলেও রাকিবের শার্টের কলার ধরে মারধর শুরু করেন সার্জেন্ট ইমরান। পরে আরও দুই পুলিশ ইমরানের সঙ্গে যোগ দিয়ে রাকিবকে মারধর করে পুলিশ বক্সে নিয়ে আটকে রাখেন। রাকিবের গলা ও কাঁধে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আটকের পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে ক্ষমা চেয়ে রাকিবকে ছেড়ে দেন সার্জেন্ট ইমরান।
এ খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর থেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা।