জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর সার্বিক অর্থনীতি কোন দিকে যাচ্ছে, সে বিষয়ে হিসাব-নিকাশে বসছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে। এটি সার্বিক অর্থনীতিতে কেমন প্রভাব ফেলবে, তার মূল্যায়ন করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। খুব শিগগিরই এ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ মূল্যায়নের মাধ্যমে যে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত হবে, অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতায় ফেরাতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষকে কীভাবে আরও স্বস্তি দেয়া যায়, সে বিষয়েও সুপারিশ থাকবে এই অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে গ্যাসের উৎপাদন কমতে থাকায় সরকার উচ্চমূল্যের এলএনজিতে নির্ভর করেছিল। এখন রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় উন্নত দেশগুলো এই এলএনজি কিনছে। তাদের সঙ্গে দামে পেরে উঠছে না ঢাকা। গত কয়েক মাসে বিশ্ববাজারের যে অবস্থা তাতে এখন সরকারকে এলএনজি কিনতে হলে প্রায় সাতগুণ দাম দিতে হবে!
এই অবস্থায় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১৪ টাকা। আগে এর দাম ছিল ৮০ টাকা। এতে মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। ৫১ দশমিক ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৮৬ টাকা লিটারের পেট্রলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৩০ টাকা। অন্যদিকে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বাড়িয়ে ৮৯ টাকার অকটেনের নতুন দাম করা হয় ১৩৫ টাকা।