বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) মালিকদের সংগঠন তৈরি পোশাক শিল্প কারখানায় অগ্নিকাণ্ড রোধে সদস্যদের ১০টি সতর্কবার্তা দিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
পরামর্শগুলো হলো-
> রাতে কারখানা বন্ধ করার পূর্বে একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সব মেশিনারিজ, লাইট, ফ্যান, আয়রন বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করা।
> কারখানার সব বৈদ্যুতিক তার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, কারখানায় ব্যবহৃত বয়লার ও বিভিন্ন ধরনের মেশিন একজন বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা নিয়মিত পরীক্ষা করানো।
> বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বোর্ড বা কোনো বৈদ্যুতিক স্থাপনার ৩ ফুটের মধ্যে কোনো মালামাল বা দাহ্য বস্তু না রাখা।
> কারখানার সিঁড়ি এবং চলাচলের পথ বাধামুক্ত রাখা এবং কর্মকালে সার্বক্ষণিক ফ্লোরের গেট, মেইন গেট এবং সব সিঁড়ির গেট খোলা রাখা।
> জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য কারখানায় প্রশিক্ষিত লোকের ব্যবস্থা রাখা এবং পুরো কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তত্ত্বাবধানের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ও একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ে প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি গার্ড নিযুক্ত রাখা।
> তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভানোর জন্য কারখানায় প্রয়োজনীয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, পানিভর্তি ড্রাম ও বালতি এবং হোজ রিল-হাইড্রেন্ট রাখা এবং এগুলো সার্বক্ষণিক কার্যকরী রাখা।
> সাবোট্যাজ বা শত্রুতামূলক আগুন প্রতিরোধের জন্য কারখানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় রাখা এবং সেগুলো সার্বক্ষণিকভাবে চালু রাখার ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনের গোপন ক্যামেরা স্থাপন করা।
> কারখানার ফ্লোরে এবং সিঁড়িতে অবশ্যই বিকল্প জরুরি বাতি এবং ফায়ার অ্যালার্মের ব্যবস্থা রাখা এবং এগুলো কাজের উপযোগী আছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করা।
> দুর্ঘটনায় যাতে পদদলিত হয়ে কোনো শ্রমিক-কর্মচারী হতাহত না হয় সে জন্য কারখানায় নিয়মিত বহির্গমন মহড়া পরিচালনাপূর্বক রেকর্ড সংরক্ষণ করা।
> কারখানায় অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস (০২-২২৩৩৫৫৫৫৫) এবং বিজিএমইএ’র জরুরি নম্বরে (০১৯১৩-৫২৯৮৬৭) ফোন করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নেওয়া।