মূল্যস্ফীতির এই সময়ে কোন খাতে কতটুকু খরচ করতে চায় সরকার সেই পরিকল্পনা জানার দিন আজ। করোনার চাপ তো ছিলই; এর ভেতর যোগ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের মতো একটি দেশের ওপর সেই চাপ অনেকটাই বেশি পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা তিনটায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে যে প্রস্তাব নিয়ে হাজির হবেন, তাতে ছয়টি চ্যালেঞ্জিং বিষয় গুরুত্ব পাবে: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা।
বাজেটের আগের দিন বুধবার (৮ জুন) মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাজেটে প্রাধিকার পাবে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট এটি। এবার ছয় লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের এবারের বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অর্থের টানাটানি আর রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার এই দিনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার কতটুকু ভর্তুকি রাখে সেদিকে চোখ থাকবে অর্থনীতিবিদদের।
একই সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে কীভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ছক তৈরি করা হবে সেটি নিয়েও আছে আলোচনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন যেমনটি বলেছেন গণমাধ্যমকে, ‘ডলারের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানি করা পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিতে হবে। দেশে যেসব পণ্য তৈরি হয় সেসব যাতে আমদানি না হয় সেজন্য বড় ধরনের কর বসিয়ে দিতে হবে। বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি উদ্যোক্তাদের দিতে হবে বড় ছাড়।’
তিনি মনে করেন, ‘তাহলে দেশ আমদানিনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসবে। আর দেশে হবে বঙ্গবন্ধুর দেখানো স্বয়ম্ভর’ দেশ।’