কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি থেকে এখন দেশে আয়হীন কর্মসংস্থান হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানী সিরডাপ মিলনায়তনে বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মোট দেশজ উৎপাদন -জিডিপির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে অন্যান্য সূচকের সামঞ্জস্য আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি।
দেশের ব্যাংকিং খাত এখন এতিম হয়ে গেছে বলে অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করেন সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আমদানির নামে অর্থপাচার হচ্ছে কিনা— তাও সরকারকে খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা এবং আগামী বছরের বাজেট নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিপিডি।
সরকার যে ঊচ্চ প্রবৃদ্ধির হিসেব দিচ্ছে তার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য সূচকের কতটা মিল আছে তা নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তোলেন দেবপ্রিয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের হিসেবে দেশে গত বছরে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৩ লাখ লোকের। এই কর্মসংস্থানের সঙ্গে আয় না বেড়ে বিবিএসের হিসেবেই উল্টো প্রকৃত আয় কমে গেছে আড়াই শতাংশ।
দেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়ছে—বাড়ছে আমদানি প্রবৃদ্ধিও এ দুটো সূচকে প্রবৃদ্ধি হলে বেসরকারি বিনিয়োগও বাড়ার কথা কিন্তু তা এখন স্থবির। তাই প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ আমদানি বাড়ছে না অর্থপাচার হচ্ছে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, জনগণের আমানতে গড়ে উঠা দেশের ব্যাংকিং খাত এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।
আগামী বাজেটে এ বিষয়গুলো যথাযথভাবে মোকাবেলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।