উন্নয়শীল দেশের কাতারে উন্নীত হলে বাংলাদেশের মোট লোকসান হবে ২৭০ কোটি ডলার আর রপ্তানিতে ক্ষতি হবে প্রায় ৮ শতাংশ। বুধবার বিকেলে রাজধানীতে ‘স্বল্পোন্ন দেশ থেকে উত্তরণ: সুযোগ-চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য দেয়া হয়।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে এখন থেকেই প্রস্ততি নিতে বলেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফেকিটামোয়েলোয়া কাটোয়া ইউটোইকামানু।
আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত।
সেমিনারে বলা হয়, এলডিসি থেকে উত্তরনের ফলে, মানব সম্পদ রপ্তানি এবং বৈদেশিক বিনিয়োগে গতি বাড়বে। আর তৈরি পোশাক সহ, রপ্তানি পণ্যের উপর প্রায় ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। বিদেশে পড়াশানো ও প্রশিক্ষনের জন্য বৃত্তি সুবিধা কমে যাবে। বাড়বে ওষুধের দাম।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, বাংলাদেশকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানা, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, বাংলাদেশের যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, তাতে প্রতিযোগিতা করেই বিশ্ববাজারে টিকে থাকার সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি হাতে প্রায় ৯ বছর সময় থাকায়, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর, জেএসপি প্লাস পাওয়ার সুযোগও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারবে বলে জানান তিনি।
আগামী ২০২৪ সালে, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বের হলে, বাংলাদেশের সামনে কিছু সুযোগ তৈরি হবে। তৈরি হবে কিছু চ্যালেঞ্জও। এ নিয়ে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত সেমিনারে, বিস্তারিত তুলে ধরেন দেশি-বিদেশি বিশ্লেষকরা।