ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ পোশাক কারখানা নির্মাণে সকল প্রকার অগ্নিনির্বাপক ও প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং নির্মাণ উপকরণের আমদানিতে শুল্ক মুক্ত সুবিধা চায় পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)
বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বৈঠকে সংগঠনের নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন।
দেশের বৃহত্তম রপ্তানি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী শিল্প হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্প প্রায় সব ধরনের নীতি-সহায়তাই সরকারের কাছ থেকে পেয়ে আসছে।
বৈঠকে বিজিএমইএ পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে পোশাক কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং শেয়ারড ও কনভার্টেট বিল্ডিং স্থানান্তরের জন্য প্রায় সব ধরনের উপাদানই আমদানি করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে বিদ্যমান ৬১% আমদানি শুল্ক কারখানার আধুনিকায়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা।
বিজিএমইএ এর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা ৪টা এইচএস কোর্ডের মাধ্যমে ডিইটি প্রত্যাহার করেছেন তবে এখনো রয়ে গেছে ১৫% ভ্যাট। আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো যেহেতু ভ্যাট আমাদের দরকার পরেই না আর আমাদের ফায়ার ডোর, যেটা আমরা হোস্ট পাইপ আনবো সেফটির ওপরে এগুলো কর্মাশিয়াল আয়টেম না। বাকি ১৫% যেটা আছে আমাদের ক্ষেত্রে আপনারা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যাহার করে ০% এর মধ্যে নিয়ে আসেন।’
রপ্তানিমুখী এ শিল্পের অডিট কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের ৩ মাসের পরিবর্তে ৬ মাস করার দাবি এবং পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সহজীকরণের দাবিও উঠে আসে বৈঠকে।
বিকেএমই এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাতেম বলেন, ‘এক্সপোর্ট অরিয়েন্টেড কারখানাগুলোকে ভ্যাটের আয়োতা মুক্ত রেখেছে। তবে আলটিমেটলি দেখা যায় যে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে ভ্যাট রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে বলা হয়, আপনারা ভ্যাট দেন আর পরে ফেরত দেবে। এ ফেরত দেয়া যে কতো কঠিন কাজ এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনারাও নিশ্চই অবগত আছেন। আর আমি মনে করি, এটাকে দুর্নীতি করার একটা সুযোগ এখানে রেখে দেয়া হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে।’
এছাড়া, পোশাক শিল্পের উৎসে কর ০.৮% থেকে কমিয়ে ০.৩% নামিয়ে আনার দাবিও জানান পোশাক শিল্প মালিকরা।