ফুচকা, ভেলপুরি, চটপটি আরও বিভিন্ন রকমের খাবারের সাথে তেঁতুলের সস না হলে যেন জমেই লাগে না। বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড খাবারের সাথেও এই তেঁতুলের সসটা বেশ মানানসই। এছাড়াও, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী। তেঁতুল বসন্ত-কালের ফল হলেও বছরের সব সময়ই পাওয়া যায়।
আজকের রেসিপিতে জেনে নেয়া যাক কিভাবে তেঁতুলের সস সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়।
উপকরণ
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
বিচি ছাড়ানো তেঁতুল | ১ কাপ |
চিনি | ২ টেবিল চামচ |
বিট লবণ | ১ চা চামচ |
লবণ | ১ চা চামচ |
গোলমরিচের গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
ধনিয়ার গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
চাট মশলা | ১ চা চামচ |
টালা মরিচের গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
লেবুর রস | ১ চা চামচ |
প্রস্তুত প্রণালী
১। | প্রথমে তেঁতুল গুলোকে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ভালো করে কচলে নিন। এরপর একটা ছাকনি দিয়ে এটাকে ছেকে নিন। |
২। | এরপর এর মধ্যে সব উপকরণ গুলো ভালোকরে মিশিয়ে নিন। |
এভাবেই, সহজেই তৈরী হয়ে গেল, তেঁতুলের সস।
এরপর আপনার পছন্দসই খাবারের সাথে পারিবেশন করুন জিভে জল আনা তেঁতুলের সস।
তেঁতুলের উপকারিতা
তেঁতুলের এসকর্বিক এসিড খাবার থেকে আয়রন আহরণ, সংরক্ষণ এবং তা বিভিন্ন কোষে পরিবহন করে। যা মস্তিষ্কের জন্য খুব প্রয়োজন। মস্তিষ্কে আয়রনের পর্যাপ্ত সরবরাহ চিন্তা ভাবনার গতি বৃদ্ধি করে।
তেঁতুলগাছের পাতা, ছাল, ফলের শাঁস (কাঁচা ও পাকা), পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা সব কিছুই উপকরী। এর কচিপাতায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে এমাইনো এসিড। পাতার রসের শরবত সর্দি-কাশি, পাইলস ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় বেশ কাজ দেয়।
তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে। তবে তা দেহের কোষে নয়, রক্তে। এতে কোলস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
দেখা যায়, পুরোনো তেঁতুলের কার্যকারিতা বেশি। যদি পেট ফাঁপার সমস্যা থাকে এবং বদহজম হয়, তাহলে পুরোনো তেঁতুল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় দিয়ে খেলে অসুবিধা দূর হয়।
আবার হাত-পা জ্বালা করলেও এই শরবতে উপকার পাওয়া যায়।প্রয়োজনে টমেটোর সসের পরিবর্তে তেঁতুলের সস বা আচার খাওয়া যেতে পারে। যদি তেঁতুলের সঙ্গে রসুনবাটা মেশানো যায়, তাহলে রক্তের চর্বি কমানোর কাজে ভালো ফল দেয়।