সাম্প্রদায়িকতা, যুদ্ধংদেহী মনোভাব ত্যাগ করে কীভাবে শান্তির পথে মানবতার পথে কাজ করা যায় তার জন্য বিখ্যাত ফরাসি লেখক-রাজনীতিক অঁদ্রে মালরোর জীবন অনুসরণীয় বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
বক্তরা বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে বিশিষ্ট বিদেশিরা এগিয়ে এসেছিলেন মালরো তাদের মধ্যে অন্যতম।
বুধবার তাঁর ৪০তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনায় এসব বিষয় উঠে এসেছে।
অঁদ্রে মালরো। বিখ্যাত ফরাসি উপন্যাসিক-রাজনীতিক এবং সর্বপোরি একজন যোদ্ধা। ১৯২৫ সালে তিনি চীনের গৃহযুদ্ধসহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি ফ্রান্সের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। লিখেছেন অনেক উপন্যাস ও গল্প। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্কটি আরো গভীর। মুক্তিযুদ্ধে সময় বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে তিনি পরিণত হয়েছিলেন এই দেশের অকৃত্রিম বন্ধুতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার লেখা আর বক্তব্য উদ্বুদ্ধ করেছিল আন্তর্জাতিক মহলকে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করতে। ভালবাসাকে আরো গভীর করতে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করেন মালরো। ১৯৭৬ সালে প্রয়াত হন বাংলাদেশের এই অকৃত্রিম বন্ধু।
মালরোর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সেখানে বাংলাদেশের প্রতি মালরোর ভালবাসাকে স্মরণ করা হয় গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
পরে, অনূদিত 'আশা' গ্রন্থটির নাট্যরূপ থেকে একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়।