কবি আবুল হোসেন আর নেই। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে রোববার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
কবির ছেলে সেলিম এফ আর হোসেন জানিয়েছেন, রাতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান বাবা।
আগামী মঙ্গলবার কবির জানাজা হবে বলে জানিয়েছেন তার পুত্র সেলিম।
তার আগ পর্যন্ত মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে থাকবে। আবুল হোসেনের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রী প্রায় দশক কাল আগে মারা যান।
১৯২২ সালের ১৫ অগাস্ট খুলনা জেলার ফকিরহাটের আড়ুডাঙ্গায় জন্ম আবুল হোসেনের। অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিলেও এর মধ্যেই সাহিত্য সাধনা চলে তার।
যুগ্মসচিব হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর ধানমণ্ডির বাড়িতেই প্রায় পুরোটা সময় কাটাতেন তিনি।
আবুল হোসেনের কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- নববসন্ত, বিরস সংলাপ, দুঃস্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্নে, এখনও সময় আছে, রাজারাজড়া। ইকবালের কবিতা বাংলায় অনুবাদ করেছেন তিনি।
বিবিধ গদ্য শিরোনামে প্রবন্ধগ্রন্থ, অরণ্যের ডাক শিরোনামে অনুবাদ উপন্যাস এবং আমার এই ভুবন ও আর এক ভুবন শিরোনামে স্মৃতিকথাও রয়েছে তার।
সাহিত্যকর্মের জন্য একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত আবুল হোসেন আরো অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন।
বাংলাদেশের যে কয়জন কবি ও সাহিত্যিক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সংস্পর্শ পেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে আবুল হোসেন একজন।
বাংলা কবিতার আধুনিক ধারার পথিকৃৎ হিসেবে তাকে অনেকে বিবেচনা করেন।