নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বসতঘর থেকে হাত-পা বাঁধা এক নারী গার্মেন্টস কর্মীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতে মিজমিজি পাগলাবাড়ী এলাকা থেকে মুক্তা বেগম নামের গার্মেন্টস কর্মীর লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, নিহতের খালাকে সোহাগ ফোন করে জানায় তার স্ত্রী মুক্তাকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী সোহাগ পলাতক রয়েছে। তারা দুইজনই গার্মেন্টস শ্রমিক ছিল।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খড়মপুর গ্রামের খাঁ বাড়ির খোকন মিয়ার মেয়ে। সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজি পাগলাবাড়ীতে শহিদুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

নিহত মুক্তা বেগমের স্বামী
স্বজনদের বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে নিহতের খালাকে স্বামী সোহাগ ফোন করে জানায় তার স্ত্রী মুক্তাকে হত্যা করেছে। পরে মেয়ের চাচাকে বিষয়টি জানালে সে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তালাবদ্ধ করে স্বামী সোহাগ পালিয়ে যায়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।