ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে মাদ্রাসার অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা।
এদিকে, ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংস্থার প্রধান, ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এ তথ্য দেন। মে মাসেই মামলার চার্জশিট দেয়া হবে বলেও জানান পিবিআই প্রধান।
রোববার বিকেল ৩টায় সিরাজ উদ দৌলাকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে।
জেলহাজতে থেকে তার নির্দেশেই নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরে তা আত্মহত্যা বলে চালানোর নির্দেশও দেয় সে। আসামিদের মধ্যে সিরাজ উদ দৌলা ও শাহাদাত হোসেন শামীমকে নতুন করে রিমান্ডে নেয়ার পর আদালতে জবাববন্দি দেয় অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ।
এদিকে, নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ১৬ জন জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। ১৬ জনই আটক হয়েছে এবং ৯ জন এরইমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় নুসরাত। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে বোরকা পরা ৪/৫ ব্যক্তি ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান।
সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল নুসরাত মারা যায়।