ফেনীর সোনাগাজীতে আগুনে পুড়িয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় মোহাম্মাদ শামীম নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার রাতে সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলী থেকে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শামীম সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী।
পিবিআই জানিয়েছে, রোববার মামলার অন্যতম দুই আসামি শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম ও নূর উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার সময় শামীম প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় পাহারার দায়িত্বে ছিলেন বলে জানিয়েছে পিবিআই। নুসরাত হত্যা মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছেন ৭ জন।
গত ৬ এপ্রিল আলিমের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় নুসরাত। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে বোরকা পরা ৪/৫ ব্যক্তি ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান।
সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল নুসরাত মারা যায়।