বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেনে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
সোমবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়ার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অুনোমদন নিতে হয়। এ হত্যাকাণ্ডে ১২ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেলেও তাদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় এবং একজনের মৃত্যু হওয়ায় অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে মোট ছয় জনকে। তারমধ্যে ৩ জন গ্রেপ্তার আছে।
জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কথিত নেতা সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং ‘উগ্রপন্থি ব্লগার’ সাফিউর রহমান ফারাবীও রয়েছে এ ছয়জনের মধ্যে জানান তিনি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়ার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অুনোমদন নিতে হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র অনুমোদনের জন্য আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেছেন। প্রজ্ঞাপনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে পূর্ণাঙ্গ কেইস ডেকেট আদালতে পাঠানো হবে।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জঙ্গি হামলার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন অভিজিৎ।
পদার্থবিদ অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি মুক্তমনা ব্লগ সাইট পরিচালনা করতেন তিনি। জঙ্গিদের হুমকির মুখেও তিনি বইমেলায় অংশ নিতে দেশে এসেছিলেন।
ঘটনার পর শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন অধ্যাপক অজয় রায়। দীর্ঘ দিনেও ছেলের হত্যার বিচার না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।