সিলেটে ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম হত্যা মামলার চার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মনিরুলকে পূর্ববিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে আসামি লিমন মিয়া আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর লিমন মিয়াসহ এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১১ জুন) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বিষয়টি জানিয়েছেন।
কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার গাগুয়া গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে সোহেল আহমদ উরফে বাটার সোহেল (৪৫), এয়ারপোর্ট থানার বন্ধন-এফ-১০ এর মৃত হেলাল আহমদের ছেলে সাহেল আহমদ নয়ন (৩৫) ও তার ভাই রিপন আহমদ সেলিম (৩৩)।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে লিমন মিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন মালনীছড়া চা বাগানের বাংলোর পার্শ্ববর্তী পাকা রাস্তার পাশ থেকে ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মনিরুল এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকার আহমদ হাউজিংয়ের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। নগরীর খাসদবির এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পরদিন মনিরুল ইসলামের স্ত্রী হেনা বেগম বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।