অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন হাজী সেলিম। সেই সঙ্গে জামিনও চেয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়। হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লিভ টু আপিল ফাইল করেছি। আগামী সপ্তাহে এই আবেদনর ওপর শুনানি হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গত রোববার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। তবে অসুস্থতার কারণে তাঁকে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহালের রায় হাইকোর্ট থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয় গত ২৫ এপ্রিল। যেখানে তাঁকে এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এদিকে তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের সাজা থেকে হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের বিরুদ্ধে ১০ মে আপিল করেছে দুদক। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করে দুদক। ওই মামলায় ২০০৮ সালে হাজী সেলিমকে দুদক আইনের দুটি ধারায় মোট ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত।
২০০৯ সালে হাজী সেলিম বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালে ওই সাজা বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত ২০১৫ সালে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
নির্দেশ অনুযায়ী ২০২০ সালের মামলাটি শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয় দুদক। পুনরায় শুনানি শেষে গত বছরের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে আংশিক আপিল মঞ্জুর করে ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আদালত। আর তিন বছরের দণ্ড থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।