অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অবশেষে কারাগারেই যেতে হলো আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজী সেলিমকে। আজ রবিবার আত্মসমর্পণের পর হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিলেন পুরান ঢাকার এই সাংসদ।
রোববার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হাজী সেলিম। পরে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এ বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করতে আসার আগেই আদালতের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন হাজি সেলিমের নির্বাচনী এলাকার সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ উপস্থিতি রয়েছে আদালতের মূল ফটকে।
আওয়ামী লীগের এই সাংসদকে আগেই ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় এই সাজা হয় তাঁর। এই মামলায় আজ (রবিবার) নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর জেল হাজতে পাঠানো হয় তাকে।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিচারিক আদালত হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলো। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন।
২০২০ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল বেঞ্চ তার ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই রায় প্রকাশ হয়। এতে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।