কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যান পোড়ানোর অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিকে, দুই বছরের বেশি সাজা হলে নির্বাচন করতে পারবে না হাইকোর্টের দেয়া এ আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
দুর্নীতির অভিযোগে সাজা প্রাপ্ত (কনভিকশন অ্যান্ড সেনটেন্স) স্থগিতে হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের আবেদনে সাড়া দেয়নি আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ সাজা ও দণ্ড স্থগিত চেয়ে জাহিদ হোসেনের করা এ আবেদনের উপর 'নো অর্ডার' আদেশ দিয়েছে।
কুমিল্লায় এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ বলেন, ১৫ অক্টোবর খালেদার আইনজীবীরা আপিল করেন। ২৪ অক্টোবর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদালত। শুনানি শেষে হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছে।
১৩ সেপ্টেম্ববর কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম সামছুল আলম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত: ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরের পৌর এলাকার হায়দারপুল এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরদিন অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ২০ দলের স্থানীয় ৩২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন। মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়।