বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে করা রিটের আদেশ আগামী রোববার।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার পক্ষে কিছু সম্পূরক তথ্য দাখিলের আবেদনের পর এ আদেশ দিয়েছে।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করে।
এর আগে গত রোববার খালেদার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিটের পর খালেদার আইনজীবীরা জানান, চিকিৎসাসেবা শেষ না করে বিএনপির চেয়ারপারসনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। রিটে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা চলমান রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া তাকে কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ নয় জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে চিকিৎসাসেবা দিতে করা এক রিট গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের ওই আদেশের পর চিকিৎসার জন্য পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৬ অক্টোবর খালেদাকে বিএসএমএমইউ নেয়া হয়। পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর খালেদাকে বিএসএমএমইউ থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ৫ বছরের কারাদণ্ড হওয়া তাকে সেখানে নেয়া হয়। পরে হাইকোর্ট এ মামলায় সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়।