সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত আসামি সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর জামিন নামঞ্জুর করেছে হবিগঞ্জ জেলা জজ আদালত।
রোববার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মাহবুবুল আলমের আদালতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।
মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় এবং তদন্তে আসামি হিসেবে আরিফুল হক চৌধুরীর নাম আসায় তাকে জামিন দেয়া হয়নি বলেও এসময় জানান বিচারক।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরিফুল হক চৌধুরী হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমপর্ণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ওইদিন আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আরিফুল বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হওয়াই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত: গত ২১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ আদালতে ৩৫জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জসিট দাখিলের পর আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন: বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, মওলানা তাজউদ্দিনের ভগ্নিপতি হুজি নেতা হাফেজ মো. ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে করিম, দেলোয়ার হোসেন রিপন, শেখ ফরিদ, আবদুল জলিল ও মওলানা শেখ আবদুস সালাম।
গত ৬ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জসিট দাখিল করা হলে আদালতের বিচারক এ সম্পূরক চার্জসিটে কিছু ভুল থাকার কারণে সংশোধন করে ২১ ডিসেম্বর দাখিল করার আদেশ দেন।
ওইদিনই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহরেুন্নেছা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর বিচারক রোকেয়া আক্তার এজাহারভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে ২০০৫ সালের ১৯ মার্চ প্রথম দফায় ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। দ্বিতীয় দফা আসামির সংখ্যা ১৬ জন বাডিয়ে ২০১১ সালের ২০ জুন ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
উল্লেখ, শাহ এ এম এস কিবরিয়া ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ-পরবর্তী জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ হামলায় কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। মারাত্মক আহত হন শতাধিক ব্যক্তি। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ-১ আসনের বতর্মান সাংসদ আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন।