মুক্তিযোদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক বাগেরহাটের তিন 'রাজাকার' শেখ সিরাজুল হক ওরফে কসাই সিরাজ, আবদুল লতিফ তালুকদার ও খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে আদেশ ৫ নভেম্বর।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিপক্ষের শুনানির পর এ আদেশ দিয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আসামিপক্ষের শুনানি শুরু হয়। ওইদিন আংশিক শুনানির পর অবশিষ্ট শুনানির জন্য ১২ অক্টোবর দিন ঠিক ছিল।
মামলায় অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে বাগেরহাটে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্মান্তরকরণসহ আটটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে সিরাজ মাস্টারের বিরুদ্ধে ছয়টি এবং আবদুল লতিফ ও খান আকরামের বিরুদ্ধে চারটি করে অভিযোগ রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাগেরহাটের কচুয়ার শাঁখারীকাঠি বাজারে ৪২ জনকে গণহত্যা, ধর্ষণ ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি অভিযোগে ২০০৯ সালে সিরাজ মাস্টারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ওই গণহত্যায় নিহত রঘুদত্তকাঠি গ্রামের শহীদ জিতেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে নিমাই চন্দ্র দাস কচুয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি পরে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।