দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন দেয়নি হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন উপস্থাপিত হয়নি— মর্মে খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ১৫ জুন রানা প্লাজা ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ এনে সাভার থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। এতে পরস্পরের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ভবনের নকশা প্রস্তুত, অনুমোদন, নির্মাণ ও গার্মেন্টস ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়।
ওই মামলায় ২৪ জুন সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা।
এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভবনের নকশা প্রস্তুত ও অনুমোদনের অভিযোগে করা মামলায় সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজার কর্ণধার সোহেল রানা, তার বাবা-মাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
অন্য ১৭ আসামি হলো: সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলী খান, স্থপতি এ কে এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, পৌরসভার মেয়র রেফাত উল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, উপসহকারী রাকিবুল হাসান, সাবেক শহর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক আবদুল মোত্তালিব, পৌরসভার সাবেক দুই সচিব মর্জিনা খান ও আবুল বাশার, রানা প্লাজায় থাকা পোশাক কারখানা ফ্যান্টম অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বজলুল সামাদ ও ইথার টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান। আসামিদের মধ্যে সোহেল রানা, রফিকুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, আমিনুল ইসলাম কারাগারে আছে।
উল্লেখ, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে সহস্রাধিক পোশাকশ্রমিক নিহত হন।