বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের বেঞ্চ এ রায় দেয়।
একইসঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করা হয়। পাশাপাশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে করা অপর একটি রিটও খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত নভেম্বরে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে দুই আইনজীবী একটি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানির পর গত ২৪ নভেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল দেন। রুলে ব্যালটে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
দুটি পৃথক রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি একসঙ্গে শুনানি হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম, আবদুস সালামের পক্ষে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম, অপর রিটের পক্ষে আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ শুনানিতে অংশ নেন।