আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আরো ২ জন অব্যাহতি পেয়েছেন।
একই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতা এম সালাম ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন। দুঃখ প্রকাশ ও নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতির আদেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়। আদালত নিয়ে দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে ওই তিনজনকে রোববার তলব করেছিল হাইকোর্ট।
গয়েশ্বর ও অন্য দুজনের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী ও এম বদরুদ্দোজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।
পরে এম এম বদরুদ্দোজা বলেন, নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হলে তিনজনকেই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
আদালত নিয়ে দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে রোববার সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড্যাবের সহসভাপতি এম সালাম ও মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন আদালতে হাজির হন।
‘সব কোর্টই এখন মুজিব কোটের পকেটে বন্দী’ গয়েশ্বরের এ মন্তব্য সংবাদপত্রে ছাপা হলে তা বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৭ এপ্রিল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুল দেয়।
গয়েশ্বরসহ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সহসভাপতি এম সালাম ও মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে (২০ এপ্রিল) আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ৬ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জজকোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট—সব কোর্টই এখন মুজিব কোটের পকেটে বন্দী। এ পকেট ছিঁড়তে না পারলে কেউ ন্যায়বিচার পাবে না বিচারকদের বিবেক জাগ্রত হবে না।
আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও পত্রিকাটি খুলে দেয়ার দাবিতে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। বিএনপিপন্থী চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।