জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর নীলক্ষেতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্সূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় নীলক্ষেত মোড়ে কয়েকজন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়ে জনগণের সাথে প্রহসন করা হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে জনগণ প্রতিটি ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়েছে। বর্তমানে গণপরিবহনের ভাড়াও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বহন করা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্রসহ সবকিছুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস নিশ্চিত করতে প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিও জানান তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকার বিদেশি ঋণদাতা সংস্থাদের খুশি করার জন্য সাধারণ জনগণের কথা না ভেবে একচেটিয়াভাবে তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আমরা চাই যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে জ্বালানির দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাফ পাস আন্দোলনের সমন্বয়ক নাদিম খান নিলয় বলেন, করোনা পরবর্তী সময় থেকে এমনিতেই মানুষ অর্থনৈতিক দৈন্যদশার মধ্যে রয়েছে। তার ওপর বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম মানুষের নাভিশ্বাস উঠিয়ে ফেলছে। অবিলম্বে বৃদ্ধি করা দাম প্রত্যাহার করে সমন্বয় করতে হবে।
তাদের দাবিগুলো হলো —
১। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে।
২। এক পয়সাও গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না।
৩ । গণপরিবহনে ভাড়ার নামে নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে, সাথে সকল শিক্ষার্থীর হাফ পাস নিশ্চিত করতে হবে।
দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকিও দেওয়া হয়।