রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সোহানা পারভীন তুলি (৩৮) নামে এক নারী সাংবাদিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে হাজারীবাগ থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলছিল সোহানার মরদেহ। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ওসি আরও বলেন, সোহানা শেরেবাংলা সড়কের একটি বাসায় থাকতেন। তার ছোট ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি হাজারীবাগ এলাকাতেই বন্ধুদের সঙ্গে থাকেন। তবে কখনো কখনো তিনি বোনের বাসায় এসে থাকতেন।
সোহানার ছোটভাই মোহাইমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার (১২ জুলাই) যশোর থেকে তিনি ঢাকায় এসে এক বন্ধুর বাসায় উঠেন। সবশেষ গতকাল দুপুরে তার বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল। বুধবার সকালে উঠে খিলক্ষেতে যান তিনি। এরপর সেখানে বিকেল ৩টার দিকে তার বাবা ফোন করে এ ঘটনার কথা জানান।
সোহানা তুলির বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে হাজারীবাগের এই বাসায় থাকতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তুলি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং সাব এডিটরস কাউন্সিলের সদস্য।
দৈনিক আমাদের সময়, কালের কণ্ঠ পত্রিকায় কাজ করেছেন তুলি। সবশেষ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। এরপর কিছুদিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। সম্প্রতি একটি অনলাইন শপ খুলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।