আগামী ছয় মাসের মধ্যে রিকশাগুলোতে কিউআর কোডসহ ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কিউআর কোড থাকায় সব তথ্য থাকবে, এভাবে আমরা নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করতে পারবো।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ঢাকা উত্তরের মেয়র।
মেয়র বলেন, প্রথম অবস্থায় ঢাকা শহরে দুই লাখ রিকশায় ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেওয়া হবে। এই নম্বর প্লেট আসবে বাইরে থেকে, তাই নকল করার কারও কোনো সামর্থ্য নেই। ধরলেই আমরা বুঝতে পারবো নম্বর প্লেট নকল করা হয়েছে কি-না।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানী হোটেল শেরাটনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা উত্তরের মেয়র।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় অধিকাংশ রিকশা অবৈধভাবে চলছে। রিকশার লাইসেন্স আছে ২৮ হাজার আর রিকশা চলে ১০ লাখ। অর্থাৎ রিকশার লাইসেন্স সবাই নকল করে চলছে। তাই এবার নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রিকশায় ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি।
তিনি বলেন, আগামী মাসে উত্তর সিটি এলাকায় ডিজিটাল কার পার্কিং শুরু হবে। ‘স্মার্ট সিটি, স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ডিএনসিসি’ আপনাদের উপহার দিতে চাই।
নগরবাসীকে সতর্ক করে মেয়র বলেন, এই ডেঙ্গুর সময় বাড়িতে বাড়িতে ছাদবাগান চেক করা চ্যালেঞ্জ। গত ১০ দিন যাবত ড্রোনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ছাদবাগান আমরা চেক শুরু করেছি। এটা আমাদের জন্য খুব ইজি হয়ে গেছে। যেখানে আমরা দেখছি কিলবিল করছে, ওই বাড়িতে গিয়ে ফাইন করছি। আমরা বলতে চাই, যার যার বাড়ির দায়িত্ব তার নিতে হবে। আমরা ওষুধ ছিটিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু আপনার বাসায় আপনি যদি এডিস মশার জন্ম দেন এর দায়-দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে এবং জেল-জরিমানা, নিয়মিত মামলা হবে।