রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিক আহতের সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ সংবাদকর্মী আহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে এই তালিকা আরও লম্বা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা সংঘর্ষ এখনো চলছে। তাই আহতের সংখ্যা সঠিকভাবে এখনো বলা যাচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার সকালে ফের সংঘর্ষ শুরু হলে সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের কাজে সেখানে উপস্থিত হন। তখন তারা আহত হন।
আহতরা হলেন— দীপ্ত টিভির রিপোর্টার আসিফ সুমিত, মাই টিভির রিপোর্টার ড্যানি ড্রং, এসএ টিভির রিপোর্টার তুহিন, ক্যামেরা পারসন কবির হোসেন, আরটিভির ক্যামেরা পারসন সুমন দে, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার আল আমিন রাজুসহ আরও কয়েকজন।
আহত আল আমিন রাজু বলেন, ‘একজনকে পেটানোর ভিডিও ধারণের সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁকে এসে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এরপর তাঁর মোবাইর ফোন নিচে পড়ে গেলে সেটি নিতে গেলে পেছন থেকে তাঁর পিঠের ওপর রামদার ওল্টো পিঠ দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় তাঁকে ভিডিও ধারণের জন্য হুমকি দেওয়া হয়।’
এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে খাওয়ার বিল দেওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গতকাল আমাদের কয়েকজন জুনিয়র খাবার খেতে গেলে বিল বেশি রাখা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তাঁদের মারধর করেন ব্যবসায়ীরা। মারধরের কারণ জানতে গেলে ১০-১২ জন ছাত্রকে তাঁরা আটকে রাখেন। এটা নিয়েই সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ এসে আমাদের ওপর গুলি করেছে। আমাদের ১০-১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।’
এরপর আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফের ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়।