নির্বাচনী বছরে কারাগারে গেলেন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আদালতের এ রায় তার রাজনৈতিক জীবনে কী প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে— এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক কৌতুহল।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না?— এ প্রসঙ্গে আইনজ্ঞরা বলছেন, এখন পর্যন্ত আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার কোন বাধা নেই।
তবে সাম্প্রতিক সময়ের অভিজ্ঞতা বলছে, এ সময়ে আইনের চেয়ে রাজনীতিই বড় বিবেচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা— বিষয়টি এখনো স্পস্ট নয়।
আইনের ৬৬ এর ২-গ ধারা অনুযায়ী, নৈতিক স্খলনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কেউ ২ বছর কারাভোগ করলে মুক্তি লাভের পর, ৫ বছর পার না হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবেন না। আবার ৪৬৬ ধারা অনুযায়ী, কারাদন্ডের স্থগিতাদেশ পেলে নির্বাচনে অংশ নিতে কোন বাধা নেই।
এর স্বপক্ষে যথেষ্ট নজিরও আছে— আওয়ামী লীগের সাংসদ মহিউদ্দীন খান আলমগীর, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত আবদুর রহমান বদি, এদের কেউ কেউ কারাদন্ড মাথায় নিয়েও মন্ত্রী হয়েছেন এবং মন্ত্রীত্ব ও সংসদ সদস্য পদ ধরে রেখেছেন।
আবার উল্টোটাও আছে—২০০০ সালে শেখ হাসিনার সরকার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদকে সংসদে অযোগ্য ঘোষনা করেছিল। তাই খালেদা জিয়ার ভাগ্য নিয়ে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে বলেও মনে করেন অনেক আইনজ্ঞ।
১৯৯৬ সালে আপীল বিভাগের রায়ে বিচারপতি মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, এ ধরনের অযোগ্যতার প্রশ্ন ঠিক হবে ভোটের পরে, নির্বাচনী ট্রাইবুনালে। রিটার্নিং অফিসার মনোনয়োন বাতিল করলেও, রিট চলবে না।
এদিকে, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আর এক বছরও বাকী নেই। এ সময়ে ক্ষমতাসীন দল যখন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে।