নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত একই পরিবারের তিন বাংলাদেশি শুক্রবার দেশে ফিরছেন। আহত আরো পাঁচ বাংলাদেশিকে দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল (শনিবার) থেকে কাঠমান্ডুতে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে যাওয়া চিকিৎসক দল। এদিকে, বিমান দুর্ঘটনা তদন্তে নেপালের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
এ দুর্ঘটনার তদন্তে এক মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানন্দরের মহা ব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী বলেন, অবতরণের সময় বিমানটি অস্বাভাবিক আচরণ করছিল।
নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের কবে দেশে আনা হবে সে অপেক্ষায় রয়েছেন তাদের স্বজনেরা। নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশি চিকিৎসক দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, শনিবার থেকে মরদেহ হস্তান্তর শুরু হতে পারে।
আর যাদের শনাক্ত করা যায়নি, তাদের ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া নিহতদের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ'র নমুনা সংগ্রহ আজ শেষ হবে বলেও জানান তারা।
তবে আহতদের এরই মধ্যে দেশে আনা শুরু হয়েছে— শনিবার একজনকে দেশে আনার পর আজ (শুক্রবার) আরো ৩ বাংলাদেশি দুপুর দেড়টার ফ্লাইটে নেপাল ছাড়বেন।
তারা হলেন: মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলীমুন্নাহার অ্যানি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, এছাড়াও কাঠমান্ডুতে ছিকিৎসাধীন আহত ৫ বাংলাদেশিকে দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে। জানান, গতকাল ঢাকায় নিয়ে আসা শাহরিনকে আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে।
আর বিমান দুর্ঘটনা তদন্তে নেপালের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। আর এ লক্ষ্যে নেপালে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নামের তালিকা পাঠিয়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।
এদিকে, নিহতদের মৃতদেহ শনাক্তে তাদের স্বজনদের থেকে রোববার ঢাকায় নমুনা সংগ্রহ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।