ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান বুধবার সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে সংবাদ সম্মেলনে র্যা ব জানায়, অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সেখান থেকে তেমন কিছু পাওয়া যায় নি। দুটি বাড়ি থেকে আটক সেলিম ও প্রান্ত নব্য জেএমবির তামিম সারওয়ার গ্রুপের সদস্য বলে জানায় র্যা ব।
এর আগে অভিযানের প্রথম দিন মঙ্গলবার দুই বাড়ি থেকে ডিনামাইট স্টিকসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছিল।
ঝিনাইদহের চুয়াডাঙ্গা গ্রামে জঙ্গি সেলিম ও প্রান্তর বাড়িতে বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু করে র্যা ব। এর আগেই ঢাকা থেকে র্যা ব ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল সেখানে পৌঁছায়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যা ব জানায়, অভিযানের প্রথম দিনে বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম পেলেও দ্বিতীয় দিনে কিছু বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
র্যা ব জানায়, জঙ্গি সেলিম ও প্রান্ত ২০১৪ সালে লিমন নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে নব্য জেএমবির তামিম সারওয়ার গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এদিকে, অভিযান শেষ হওয়ার পর ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে র্যা ব।
সোমবার দিবাগত রাতে জঙ্গি সেলিম ও প্রান্তকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার ভোরে তাদের বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যা ব। সেদিন জঙ্গি সেলিমের বাড়ির পাশে বাগানে মাটি খুঁড়ে ২০ টি ডিনামাইট স্টিক, ১৮৬ টি পিভিসি বোর্ড, চার বোতল পটাসিয়াম ক্লোরাইড, একটি এন্টি পারসোনাল মাইনসহ বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও প্রান্ত বাড়ির পেছন থেকে দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করা হয়। সেলিম গত ৭ মে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি তুহিনের ভাই, আর প্রান্ত তার চাচাতো ভাই।