পুলিশের গুলিতেই বৈশাখী পরিবহনের বাসচালক শাহ আলম মারা গেছেন বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তিনি বলেন, অসংখ্য গুলি বিদ্ধ হয়েছে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে।
পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে চালক নিহত হওয়ার ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি।
এমন ঘটনার জন্য পুলিশ নয় বহিরাগত শ্রমিকদের বাড়াবাড়িকে দায়ী করেন তিনি।
বুধবার সকালে রাজধানীর গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংর্ঘষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে বৈশাখি পরিবহনের বাসচালক শাহ আলম গুরুতর আহত হন। পরে বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহ আলমের ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগ। গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান।
এদিকে, শ্রমিকদের ধর্মঘটকে শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি বললেন, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম।
মঙ্গলবার রাতে চাইলে পুলিশ গুলি চালাতে পারতো— কিন্তু তারা তা করেনি বরং বহিরাগত শ্রমিকরা পরিস্থিতি উত্তেজিত করেছে।
পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।