দেশের দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট-জেএসসি ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট-জেডিসি পরীক্ষা। এতে পৌনে ২৭ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষাখাতে সরকারের ব্যাপক উদ্যোগের কারনে ঝরে পড়ার হার কমেছে।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার মান বেড়েছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকারের নানা উদ্যোগের কারনেই শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার কমেছে। বেড়েছে শিক্ষার মান।
এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নেই উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব অপরাধ বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এর আগে সকালে মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্র ঘুরে দেখেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শ্রেণিকক্ষের বাহিরে থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আর সরকারের এ ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। বিশেষ করে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সরকারের পদক্ষেপে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।
এদিকে, উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে বরিশালে ১৭৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছে একলাখ ১৯ হাজার ৭৫ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী রয়েছে ৬৩ হাজার ৫৬০জন। বোর্ডের ১৫টি ভিজিলেন্স টিম ছাড়াও প্রতি জেলায় পাঁচটি করে ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
কুমিল্লা বোর্ডে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৮২১ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে। প্রথম দিনে কুমিল্লা জিলা স্কুল পরিদর্শন করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া।
যশোর বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দুইলাখ ৪১ হাজার ৮৬৭ জন। আর তাদের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র রয়েছে ২৭০টি। দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে জেএসসি পরীক্ষায় বসেছে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৭৯৩ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্টমশ্রেণি পড়ুয়াদের এ পরীক্ষা চলবে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত।